শাড়ি পরার ধাপগুলো (How to wearing a saree)

শাড়ি পরার ধাপগুলো অনুসরণ করে যে কেউ সুন্দরভাবে শাড়ি পরতে পারবেন। নিচে ধাপে ধাপে শাড়ি পরার সহজ কৌশল দেওয়া হলো:

১. পেটিকোট ও ব্লাউজ পরা

প্রথমেই পেটিকোট ও ব্লাউজ পরুন। পেটিকোটটি যেন আপনার কোমরে ভালভাবে ফিট হয় এবং আঁটসাঁটভাবে বাঁধা থাকে, কারণ শাড়ির ওজন সামলানোর জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্লাউজের ফিটও ঠিকভাবে পরীক্ষা করে নিন।

২. শাড়ির এক প্রান্ত কোমরে গোঁজা

শাড়ির একদম প্রান্তের অংশটি (পাড়) কোমরের ডান পাশে পেটিকোটের মধ্যে গুঁজে দিন। কোমরের সাথে মিলিয়ে শাড়ি গোল করে পাকিয়ে পেটিকোটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন।

৩. শাড়ির প্রথম পাক দেওয়া

কোমরের ডান দিক থেকে শুরু করে বাঁ দিকে পুরো কোমর ঘিরে শাড়ির একটি পাক দিন। পাকটি যেন কোমরের সাথে ঠিকভাবে বসে থাকে এবং শাড়ি ঠিকভাবে লেগে থাকে।

৪. প্লিটস (ভাঁজ) তৈরি করা

শাড়ির প্রধান অংশটি কোমরের সামনে এনে ৫-৭টি ভাঁজ তৈরি করুন। প্রতিটি ভাঁজ যেন ৫ ইঞ্চির মতো চওড়া হয়। ভাঁজগুলো সমান ও গুছিয়ে নিন এবং একসাথে ধরে পেটিকোটের মধ্যে কোমরের মাঝখানে গুঁজে দিন।

৫. পল্লু ঠিক করা

শাড়ির পল্লুটিকে (শাড়ির মাথার অংশ) বাঁ কাঁধের ওপর দিয়ে আনুন। পল্লুর দৈর্ঘ্য আপনার পছন্দ অনুযায়ী ঠিক করুন, সাধারণত এটি হাঁটু পর্যন্ত লম্বা থাকে। পল্লুটির একদিক কাঁধে ঠিকভাবে আটকাতে সেফটি পিন ব্যবহার করুন।

৬. পল্লুতে ভাঁজ করা (ইচ্ছা অনুযায়ী)

পল্লুতে চাইলেই কিছুটা ভাঁজ করতে পারেন যাতে এটি সুন্দরভাবে কাঁধের উপর পড়ে। ভাঁজ করা পল্লু শাড়িকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে এবং চলাচলে সুবিধা হয়।

৭. পল্লু সেট করা

পল্লু ঠিকমতো কাঁধে বসলে হাত দিয়ে একবার পরীক্ষা করে নিন যে এটি সহজে খুলে যাচ্ছে না এবং সঠিকভাবে লেগে আছে কিনা। প্রয়োজনবোধে আরও কিছু সেফটি পিন ব্যবহার করতে পারেন।

৮. বাকি অংশ ঠিক করে নেয়া

কোমরের চারপাশ এবং প্লিটসগুলো ঠিকঠাক লেগেছে কিনা দেখে নিন। ভাঁজগুলো যদি সোজা না থাকে, তাহলে হাত দিয়ে সোজা করে নিন।

এই ধাপগুলো অনুসরণ করে শাড়ি পরা অনেক সহজ হয়ে যায়। প্রথমবারের মতো শাড়ি পরলে কিছুটা সময় লাগতে পারে, তবে ধীরে ধীরে অনুশীলন করলে এটি খুব সহজ হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *